বেলায়েত হোসেন :
যদি প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থমস্তিষ্কসম্পন্ন কোনও পুরুষ কিংবা নারী ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, তাহলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব।
কোরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য পণ্য হলো— টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না— এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি-গাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র।
আর নেসাবের পরিমাণ হলো— স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৮৭ দশমিক ৪৮ গ্রাম) ভরি, রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে ৫২ (৬১২ দশমিক ৩৬ গ্রাম) ভরি এবং টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নিসাব হলো— এর মূল্য সাড়ে ৫২ ভরি রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া।
সোনা বা রূপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনও একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে ৫২ তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলেও তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
১৬ জুন (শুক্রবার) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) রেট অনুযায়ী ৫২ দশমিক ৫ তোলা সনাতন রুপার দাম হলো ৫৫ হাজার ৯৫ টাকা টাকা। তবে কোরবানি ওয়াজিব হবে ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সাড়ে ৫২ ভরি রুপার যে দাম থাকবে, তার ওপর ভিত্তি করে।
তথ্যসূত্র : (আলমুহিতুল বুরহানি ৮/৪৫৫ ও ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫)
লেখক: গণমাধ্যমকর্মী; শিক্ষক, মারকাযুদ দিরাসাহ আল ইসলামিয়্যাহ, ঢাকা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-